ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল ইসলাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, “আসলে আপনার সরকার চাচ্ছেটা কি? একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যার সুনাম সারা বিশ্বব্যাপী। তিনি আসলে চাচ্ছেনটা কী?”
তিনি বলেন, “মানুষের চাওয়া একটাই, সেটা হলো নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি আপনার কাজ করে যাবেন আপনার কাছে আমাদের পাওয়ার যে বিষয়টা সেটি হলো একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। জনগণের মনের ভাষা আপনাকে বুঝতে হবে।”
তিনি বলেন, “১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে দাবির জন্য হামলা, মামলা উপেক্ষা করে আমরা লড়াই করছি যে লড়াই করতে গিয়ে আমরা ইলিয়াস আলীকে হারিয়েছে, চৌধুরী আলমকে হারিয়েছি সেই দাবিটাই হলো একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে এত টালবাহানা কেন? কেন আজকে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি আপনার মতো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে বলেছেন বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই?”
জনগণ হতাশ— এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ানো হয়েছে। জনগণ সুখে নেই, তারা সুখ চায়, সেই সুখটা হলো বর্তমান সরকারের অধীনে সাহাবুদ্দিনের মতো একটি নির্বাচন হোক সেই নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে তারা সরকার গঠন করে বাকিটুকু সংস্কার করবে। আপনার সরকারের প্রয়োজন নির্বাচন সুষ্ঠু করার সংস্কার। আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না, রাজপথে দাঁড়াতে চাই না। কার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবো, হাসিনা তো নাই।”
ফারুক বলেন, “১/১১ এর মতো পরিস্থিতি কেউ যদি আবার সৃষ্টি করতে চায় তাহলে প্রয়োজনে আমরা আবার রাজপথে নামব। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বিএনপিকে আবার নিশ্চিহ্ন করতে যদি কেউ কোনো পরিকল্পনা করে বাংলার মাটিতে সেটি কখনো সফল হবে না। হতে দেওয়া হবে না।”
জামায়াতের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “যারা আপনাদের নেতাদের ফাঁসিতে জুলিয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করার কথা আপনারা কি করে বলেন? তাদের হাতে গণতন্ত্র দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জবাই হয়েছে, তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। তাদের তো ক্ষমা করার প্রয়োজন নেই। তারা কখনো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে পারবে না।”
সংগঠনের সভাপতি এস এম শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি একাংশের চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, যুব জাগপার সভাপতি আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
Leave a Reply