ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত আনতে খুব শিগগিরই সরকার একটা বিশেষ আইন করবে।
তিনি বলেছন, ‘পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করতে একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন আপনারা দেখবেন। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে যেসব বিদেশীরা আমাদের সাহায্য করছেন, তারাও এ ধরনের আইনের চাহিদার কথা বলছেন। সেই অনুযায়ী আইনটি করা হচ্ছে।’
প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৎপর রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
শফিকুল আলম জানান, টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগিয়েছে, সেটার ওপর আজ একটা বড় সভা হয়। সভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা দেশের মানুষের টাকা। যত দ্রুত করা যায়, টাকা ফেরত আনতে হবে। ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আরও একটি সভা ডেকেছেন। আশা করছি- প্রতিমাসে এর ওপর একটা করে সভা হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও বিস্তারিত জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।
পাচারকৃত টাকার বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একজন বিদেশে তার সন্তানের টিউশন ফি পাঠিয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। অথচ বছরে ১ কোটি টাকার ওপরে টিউশন ফি লাগার কথা নয়। এখানে দেখা যাচ্ছে টিউশন ফির নামে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply