জাহাঙ্গীর আলম-মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি (টাঙ্গাইল), ০৯ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক ফিরোজ মিয়া সহ গ্রাম্য মাতব্বরদের গ্রেফতার ও কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে আজগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা বাজারে আজগানা ইউনিয়নবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -আন্দোলনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
ঘন্টাব্যাপী সমাবেশ শেষ বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আলামিন, সমন্বয়ক জোবায়ের আহমেদ, মির্জাপুর উপজেলার সমন্বয়ক ইমন সিদ্দিকী, সিয়াম, নেহা, ছাত্রশিবির মির্জাপুর কলেজ শাখার সভাপতি মুজাহিদ সেক্রেটারি আরাফাত হোসেন প্রমোখ। এসময় দর্শক ফিরোজ মিয়াও গ্রাম্য মাতব্বর বাবুল মালেক হাজু, ইউনুস, নুর ইসলাম,আলম, খোরশেদ ও আলিম সহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। সংসারে অভাব অনটনের মধ্যে শিশুর মা গার্মেন্টসে কাজ করেন। গত সোমবার (৩ মার্চ) মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার মা কাজে যান। বাড়িতে কেউ না থাকায় কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩২) শিশুকে কৌশলে ধর্ষণ করেন। এবং তার মোবাইলে ভিডিও করে।অভিযোগ করে তাকে হুমকি দেয় ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছরিয়ে দেওয়া হবে।ধর্ষণের ঘটনা কয়েকদিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার মাতাব্বর বাবুল,মালেক, ফাজু, ইউনুস, নুর ইসলাম আলম, ও আলিমসহ ১৫-২০ জন মাতব্বর সালিশে ফিরোজকে দের লাখ টাকা জরিমানা এবং জুতা পিটা করা হয়।
অপরদিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশু কে ধর্ষণ ও ভিডিও করার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শিক্ষার্থী সহ সচেতন মহলের মধ্যে খুব দেখা দেয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা শিশুর মা বলেন ধর্ষক ফিরোজ ও তার পরিবার এবং মাতাব্বরদের চাপে সালিশে রাজি হয়েছিলাম।উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এখন আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন ঘটনাটি দুঃখজনক।প্রশাসন থেকে পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্ষক ফিরোজ ও মাতাব্বররা পলাতক রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতারের কাজ করছেন পুলিশ।
Leave a Reply