রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

সাবেক কাউন্সিলরদের কারনে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল : র‌্যাব-২

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৯ সময় দেখুন

ঢাকা, ০৯ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেছেন, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক সাবেক কাউন্সিলর আসিফ ও রাজিবের পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন-পালনের কারণে জেনেভা ক্যাম্প একটা মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল।

 

বিগত সময়গুলোতে কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেপ্তারকৃত সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘যারা কিশোর গ্যাং, ছিনতাই করে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা সেভাবে পাইনি। তবে যারা এদের পরিচালনা করে, তারা যদি রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় না পেত, তাহলে এরা আজকের এই অপরাধ জগতে আত্মপ্রকাশ করতো না।’

 

সম্পতি একটি অভিযোগ উঠেছে, যারা বিগত সময়ে সরকারে ছিল এই মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক কিশোর গ্যাং সদস্যদের তারা পালতেন। তারা এখন পলাতক থাকার কারণে এই কিশোর গ্যাং সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর পেছনে মোহাম্মদপুরের সাবেক সরকার দলীয়রা কলকাঠি নাড়ছেন কিনা?

 

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক যে কাউন্সিলরা ছিলেন আসিফ ও রাজিব, এদের পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন-পালনের কারণে জেনেভা ক্যাম্প একটা মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল। আমরা সেই জেনেভা ক্যাম্পকে গুড়িয়ে দিয়েছি। এখন জেনেভা ক্যাম্পে কোনো গডফাদার নেই। আগে জেনেভা ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ ঢুকতে সাহস পেত না। আমরা সেই জেনেভা ক্যাম্প এখন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যে কেউ যেকোনো সময় জেনেভা ক্যাম্পে যেতে পারবেন, কোনো অসুবিধা নেই। তবে এখনো মাদক আছে। এটা আমাদের অবজারভেশনে আছে। আমরা যেকোনো সময়ে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

 

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা কেন্দ্রিক যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে নেতৃবৃন্দ ছিলেন, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কিশোর গ্যাংগুলো আজকে এতো বেপরোয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংগুলো তারা লালন-পালন করেছেন। তাদের ছত্রছায়ায় এরা বড় হয়েছে। তাদের পরিচয়ে এরা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আজকে তারা পালিয়ে যাওয়ার কারণে কিশোর গ্যাং বেপরোয়াভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে।

 

সাবেক কাউন্সিলররা এদের উস্কানি দিচ্ছে কিনা? বা কেউ কোনো ইন্ধন যোগাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আগে একটা পরিচয়ে বড় হয়েছে। সুতরাং তাদের ইন্ধন অবশ্যই থাকতে পারে। যেহেতু একটা ছত্রছায়ায় তারা লালন-পালন হয়েছে, সেই ইনফুলেন্সটা থাকতে পারে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর