কুমিল্লা, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা কুমিল্লা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
দুপুর বারোটার দিকে যুবদল নেতা তৌহিদের লাশবাহী গাড়ি নিয়ে হাজারো জনতা কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা তৌহিদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিশাল মানববন্ধন করেন এবং একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে কিছু লোক তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা জানান ঘরে অস্ত্র আছে। এরপর ঘর তল্লাশি করে কোনো অস্ত্র না পেলেও তৌহিদকে যৌথ বাহিনী আটক করে। কারণ জানতে চাইলে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারীদের একজন জানান, কাউসার নামে একজনকে ধরতে হবে এজন্য তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, ‘রাতভর উৎকণ্ঠায় থাকার পর সকাল সাড়ে আটটার দিকে যৌথ বাহিনীর ওই টিম তৌহিদকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে। এ সময় তৌহিদকে মুমূর্ষু দেখা যাচ্ছিল।’
সকালে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন অভিযোগ করে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, ‘কাউসার ও তার স্ত্রীকে ধরিয়ে দিলে তৌহিদকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তারা। কিছুক্ষণ বাড়িতে অবস্থানের পর সেনা সদস্যরা তৌহিদকে নিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে আবার চলে যায়। বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কোতোয়ালি থানার একজন পুলিশ অফিসারের ফোন পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে তৌহিদকে তারা মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার তার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
Leave a Reply