আজ ১৩ মে সোমবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রলীগকে বেধে দেওয়া এক সপ্তাহ সময় শেষ হয় গত ২৫ এপ্রিল। সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের প্রতিশ্রুত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি দেওয়ার সময় পেরিয়েছে গত ২০ এপ্রিল। কমিটি গঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছিলেন, ‘খসড়া কমিটি প্রস্তুত। কিন্তু চূড়ান্তভাবে কমিটি ঘোষণা করতে আরও কয়েকদিন (৩-৪) দিন সময় লাগবে।’
চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। তখন আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার জন্য এক সপ্তাহ সময় বরাদ্দ করেন।
তখন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছিলেন, কমিটি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক একটি খসড়া কমিটি জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সোমবার ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রতা ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে ছাত্রলীগের বর্তমান দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে নতুন সম্মেলন করার হুমকি দেন তিনি। সেদিন তার বাসভবন গণভবনে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের চার নেতাকে ছাত্রলীগের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বও দেন তিনি। ছাত্রলীগের কমিটি দেখভালের দায়িত্ব পেয়ে পরদিনই সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং বি এম মোজাম্মেল হক।
১৭ এপ্রিল তারা বৈঠক করেন আগের কমিটি সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঙ্গে। এর ধারাবাহিকতায় গত রবিবার (২১ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে টানা নয় ঘণ্টা বৈঠক করেন ওই চার নেতা।
Leave a Reply