ঢাকা, ২০ ডিসেম্বের২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি অফিসে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, পাসপোর্ট অফিস, হাসপাতাল, পোস্ট অফিসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সরকারি অফিসে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পেতে ভোগান্তি ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কমিশনের বাইরে থেকে এনআইডি সেবা দেওেয়ার বিনিময়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করে দুদকের টিম।
আটক ব্যক্তিরা অনুবিভাগের একটি প্রকল্পের কর্মচারী বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য তিন লাখ ৭৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে আছে। এর ফলে সৃষ্ট দীর্ঘসূত্রতাই দুর্নীতির কারণ বলে মনে করি। আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারলে এ ধরনের দুর্নীতির সুযোগ কমে আসবে।’
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে গোপনে রোগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেবাগ্রহীতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে আউটডোর টিকিট কাউন্টারে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও পরিদর্শনকালে টিমের কাছে ওই হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা অনুমতিতে ডাক্তারদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে এমআরই, সিটি স্ক্যান মেশিন অচল থাকায় জনদুর্ভোগ, স্টোর রেজিস্ট্রার হালনাগাদ না রাখার সুযোগে বিভিন্ন অনিয়ম, পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিক্যাল সনদ নিয়ে বাণিজ্য, স্টোরে রক্ষিত কম্বল রোগীদের বিতরণ না করা, ইসিজি মেশিন এবং ট্রলি ব্যবহারকারীদের থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অভিযানে উদ্ঘাটিত তথ্যের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক টিমকে অবহিত করেন। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে বিধি বহির্ভূতভাবে ওভারটাইম বাবদ অর্থ প্রদান করে রাষ্টীয় অর্থের অপচয় করার অভিযোগ বিষয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে ওই কার্যালয়ের নভেম্বর মাসের কর্মচারীদের বেতন বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৫ জন কর্মচারী কর্মরত থাকলেও প্রকতৃপক্ষে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা ২২২ জন কর্মচারীর অনুকূলে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply