শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন

৩৪তম বিসিএস-এর অবিচার, বৈষম্য ও বঞ্চনা : শূণ্য ৬৭২ ক্যাডার পদ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চান উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীরা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩১৬ সময় দেখুন

ঢাকা, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): কোটা সংরক্ষণের নামে ৬৭২টি পদ খালি রাখেন তৎকালীন সরকার ও পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাননি ৩৪তম বিসিএসের ৭৪ চিকিৎসকসহ ৬৭২ জন সুপারিশ প্রত্যাশী প্রার্থীরা।

আজ ৫ অক্টোবর ২০২৪ (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ক্যাডার বঞ্চিতরা। বঞ্চনা মাথায় নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে লড়ছেন বলে জানান ডা. মো: তফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। ২০১৩ সালে আমাদের জার্নি শুরু হয়েছিল, এখনও চলমান। শেষ অবধি সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’

দেশের চাকরির পরীক্ষার ইতিহাসে ৩৪তম বিসিএস কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে ক্যাডার প্রত্যাশী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোটা সংরক্ষণের নামে ৬৭২টি পদ খালি রাখে সরকার। এ নিয়ে বারবার আন্দোলন করেও কোনো প্রতিকার পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা বৈষম্যের শিকার, তারা কীভাবে সরকারি চাকরি পায়, সেটি দেখে নেবে স্বৈরাচার সরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা চাই, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’ ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছি, এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি’—যোগ করেন ডা. মো: তফিজুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জনি বলেন, ‘আমরা সরাসরি কোটা বৈষম্যের শিকার, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাইনি। অন্যান্য বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি সাংবিধানিক অধিকারহরণ।’ এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দুটি দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। এর মধ্যে নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে প্রকাশিত আদেশটি বাতিল করার কথা বলা হয়। দ্বিতীয়ত নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএস কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য পদে বৈষম্যের শিকার প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করা।

যেহেতু গত২১ জুলাই ২০২৪ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্জ কোটা বৈষম্যের রায়ে অভিমত দেন যে, কোটা ইস্যু সম্পূর্ণ নির্বাহী বিভাগের বিষয়। এই বিষয় নির্বাহী বিভাগই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, আদালতে আসার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে এ ধরনের যেকোন ইস্যু নির্বাহী বিভাগ সমাধান দিবে। তাই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ২৩শে জানুয়ারী ২০১৬ সালে জারিকৃত ৩৪তম বিসিএসের ৬৭২টি পদ ৩৫তম বিসিএস থেকে পূরণের অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও বঞ্চনামূলক কালো বিধি বাতিল করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৬৭২টি ক্যাডার পদ ৩৪তম বিসিএসের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করে তাদের প্রতি যে অবিচার, বৈষম্য ও বঞ্চনা করা হয়েছে তার অবসান করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার আবেদন করেছেন বঞ্চিত প্রার্থীরা ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর