ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ এপ্রিল ২০২০ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): একটি স্পেশাল ফ্লাইটে ১২৫ বাংলাদেশিকে আগামী সপ্তাহে ফেরত পাঠাচ্ছে কুয়েত! ওই বাংলাদেশিরা বিভিন্ন লঘু অপরাধে ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন। কুয়েত সরকার ঢাকাকে জানিয়েছে-ওই বাংলাদেশিরা শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ১২৫ বাংলাদেশিসহ কুয়েতের জেলে থাকা ৩৫০ বাংলাদেশিকে দ্রুত ফেরাতে চায় দেশটি। তাদের প্রত্যেকের বিস্তারিত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ছোট্ট অপরাধে ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ১২৫ বাংলাদেশিকে বহনকারী কুয়েতি ফ্লাইট ঢাকায় নামার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।।সেগুনবাগিচা বলছে, কুয়েতের ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের গ্রহণে ঢাকার আপত্তি নেই। তবে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি ১৪ই মার্চের আগে না পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ চীন ছাড়া দুনিয়ার সঙ্গে ঢাকার নিয়মিত ফ্লাইট বা বিমান যোগাযোগ ওই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। তবে ঢাকার অনুরোধের জবাবে কুয়েত কি বলেছে সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা সম্ভব হয়নি মোট ১ লাখ ৩৫ বাংলাদেশিকে ফেরানের চাপ: এদিকে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে- মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বাংলাদেশিকে জরুরি ভিত্তিতে ফেরাতে ঢাকার ওপর চাপ বাড়ছে।
অনেক দিন ধরে অবৈধ বসবাসসহ নানা অপরাধের দায়ে ডিটেনশন সেন্টারে থাকা কিংবা দণ্ডাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়া ওই বাংলাদেশিদের ফেরানোর আলোচনা চললেও সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি ঢাকার ওপর বিদ্যমান চাপকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে, নিজ খরচে বিশেষ বিমানেই তাদের ঢাকা পৌঁছানো হবে, তবুও যেনো বাংলাদেশ তার নাগরিকদের গ্রহণ করে!
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নীতি-নির্ধারণ পর্যায়ে বিশেষত: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে রোবাবার অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে কিছু নাগরিককে ফেরানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ এবং পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরানোর বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মালদ্বীপে প্রায় ৩৫ হাজার বাংলাদেশি অবৈধ, করনোর কারণে তারা এখন কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। সিঙ্গাপুরে অবশ্য সেই সংখ্যা হাতে গোনা, বড়জোট কয়েক ‘শ হবে। তবে তারা অবৈধ। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কঠোর নিয়মের দেশ সিঙ্গাপুর থেকেও অবৈধদের ফেরাতে হবে। কিন্তু কিছুটা সময় নেয়া যাবে। অন্তত করোনা সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত তাদের ফেরানো ঠেকাতে চায় ঢাকা। কুয়েত ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশ বিশেষত সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং ওমানে থাকা হাজার হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরানোর চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর বিপরীতে ঢাকার তরফে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা যে অবস্থায় রয়েছেন সেভাবেই রাখতে জোর তদবির-অনুরোধ করা হচ্ছে।
Leave a Reply