বগুড়ায় যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত যমুনার পানি তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার নদী তীরবর্তী তিন উপজেলার আরো ৪টি ইউনিয়নের ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১১ হাজার ৫৬০ পরিবারের ৪১ হাজার ৮৪০ জন মানুষ।
সব মিলিয়ে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ১২৯টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩১ হাজার ৫৮৫ পরিবারের ১ লাখ ২৪ হাজার ২২০ মানুষ। বন্যায় আক্রান্ত এই পরিবারগুলোর মধ্যে ২ হাজার ২৫০ পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে আর ৬৪৫ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ স্থানে।
তিন উপজেলার মোট ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হওয়ায় সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ আছে। তিন উপজেলার মোট ৮ হাজার ৯৭৮ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ২ হাজার ৩৩০ টি ল্যাট্রিন এবং ২ হাজার ৭৩৬ টি নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে শুধুমাত্র সারিয়কান্দি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২২২টি পুকুরের (২৫.২৯ হেক্টর) ৭৩. ৯৭ মে. টন মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
Leave a Reply