রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

মিস ইরাক নিজ দেশের নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
  • ৪৫২ সময় দেখুন

২০১৭ সালে মিস ইরাক খেতাব বিজয়ী সারা ইদান নিজ দেশের নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন। ‘শত্রু রাষ্ট্র’ ইসরাইলকে সমর্থন, মুসলিম দেশগুলোর ‘ইহুদী বিদ্বেষ’ নীতি ও ইরাকের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনার কারণে নিজ দেশে অপাংক্তেয় হতে যাচ্ছেন তিনি।

চলতি বছরের ২৫ ও ২৬ জুন জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর এর ৪১তম অধিবেশন নিজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন সারা ইদান। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা করেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীটি যুদ্ধ চালাচ্ছে।

সম্মেলনে মিস ইরাক বলেন, আরব-ইসরাইল শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা ‘ইহুদী বিদ্বেষ’ নীতি। মুসলিম দেশগুলোতে ‘ইহুদী বিদ্বেষ’ শিক্ষা দেয়া হয়। তবে আরব দেশগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের পরিবর্তে ইসরাইলের সাথে আলোচনায় বেশি আগ্রহী।

জাতিসংঘে নিজ দেশের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার পরে ইরাকের সামাজিক মাধ্যমে তাঁর নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দাবি ওঠে।

তবে টুইটারে নাগরিকত্ব রক্ষায় অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিস ইরাক। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের কাছে নাগরিকত্ব রক্ষায় সহায়তাও চেয়েছেন।

এক টুইট বার্তায় সারা ইদান লিখেন, ‘আমার ইসরাইলের পক্ষে কথা বলার জন্য কোন বাক-স্বাধীনতা নেই। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া একটি অমানবিক সিদ্ধান্ত। আমি এ ঘটনায় বাকরুদ্ধ।’

ইদানের এক টুইটে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

২৯ বছর বয়সী সারা ইদান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর