মাস খানেক বাকি কোরবানির ঈদের। এর মধ্যেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হলেও দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ২৯ টাকায়। আর ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ ৫দিন আগেও সারা দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ২০ থেকে ২২ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করে হিলি স্থলবন্দরের আড়ৎগুলোতে পেঁয়াজের দাম ৬ থেকে ৭ টাকা কমে গেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। দু’একদিন আগে বন্দরের মোকামে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হয় ২৮ থেকে ২৯ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈরি আবহাওয়ায় ক্রেতা সংকট এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খালাস না হওয়ায় পড়ে গেছে পেয়াজের দাম। পেঁয়াজ আনা হয়েছে কিন্তু আনলোড করা যাচ্ছে না। ফলে পেঁয়াজ বিক্রিও হচ্ছে না। তাছাড়া ক্রেতারাও আসতে পারছেন না। ফলে দাম কমে যাচ্ছে।
এদিকে, দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ২৩-২৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৮-২৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতে বুকিং রেট বৃদ্ধি এবং দেশের নতুন অর্থবছরের বাজেটে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর সংযোজন করায় বেড়ে গেছে পেয়াজের দাম। ভারতীয় কৃষকদের রপ্তানি করার জন্য যে ভর্তুকি দেয়া হতো তা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে তারা রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। এজন্য দাম বেড়ে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের ৪ কর্মদিবসে হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে ১শ’ ২৫ ট্রাকে ৩ হাজার ১শ’ ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
Leave a Reply