আজ রবিবার রাজধানীতে সিভিল সার্ভিস প্রশাসনিক একাডেমিতে বিসিএসে নিয়োগ পেয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে যাওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি তার সরকারের উন্নয়নের চিন্তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণার্থীদের দেশ ও জনগণের সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এক শতাংশ হলেও কম থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য সবাইকে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি।
এ সময় ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে ব্রিটিশদের সঙ্গে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন, একই তারিখে আওয়ামী লীগের জন্ম, দলটির নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পলাশীর আম্রকাননে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত দিয়েছিল, সেই সূর্য আবার উদিত হয় মেহেরপুরের আম্রকাননে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আর যে কারণে আপনারা দেখবেন, আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে, তখনই কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।’
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যের হার ২১.৮ ভাগে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনব। আমেরিকায় দারিদ্র্যের হার ১৭ কি ১৮ ভাগ। যে করেই হোক, তার চেয়ে এক পার্সেন্ট কমালেও আমাদের কমাতে হবে।’ ‘আজকে আমরা ৮.১৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদেরকে এটা বাড়াতে হবে।’
হত দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি রয়েছে সরকারের। ‘তাদের জন্য কিন্তু আমরা বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি, যাতে কেউ না খেয়ে থাকবে না। কিন্তু তার সাথে সাথে এটা মনে রাখতে হবে যে, আমরা এত বেশি দেব না যাতে সবাই কর্মবিমুখ হয়ে যায়।’
‘আমাদের অনেকে অনেক বক্তৃতা দেন, আরো বেশি ভাতা দিতে হবে। আমি বলি, তাহলে তো কেউ কাজই করবে না। আমরা পারলে একবেলা যদি পেট ভরে খেতে পারি, দ্বিতীয় বেলা কী খাব, সে চিন্তা আর করি না। এজন্য এমনভাবে দিতে হবে যাতে একেবারে না খেয়ে না থাকে, আর যেন কর্মবিমুখ না হয়।’
Leave a Reply