বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

শান্তি চুক্তি মেনে নিলে মধ্যপ্রাচ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ কিরবে যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯
  • ৪৬১ সময় দেখুন

শান্তি চুক্তি মেনে নিলে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার নতুন এই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে, ফিলিস্তিনিদের জন্য একে শতাব্দীর সেরা সুযোগ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে নতুন এ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিন বলেছে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কেবলমাত্র রাজনৈতিক উপায়েই সঙ্কট সমাধান সম্ভব।

চলতি সপ্তাহেই বাহরাইনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানের জন্য বিতর্কিত শান্তি পরিকল্পনা পেশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। একতরফাভাবে প্রণয়ন করা ওই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শনিবার জর্ডানে বিক্ষোভে নামেন দেশটিতে বসবাসরত ফিলিস্তিনের নাগরিকরা। জর্ডানের সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

এমন পরিস্থিতি শান্তি পরিকল্পনার পক্ষে জনমত আদায়ের জন্য নতুন অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, শান্তি চুক্তি মেনে নিলে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর বেশিভাগ অর্থই ফিলিস্তিনির গাজা ভূখণ্ড এবং পশ্চিম তীরের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলেও জানান তিনি। বাকি অর্থ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া জর্ডান, মিশর এবং লেবাননের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। কুশনারের দাবি, এর ফলে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আসবে।

জ্যারেড কুশনার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হলে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং গাজায় কয়েক লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। যা সেখানের বেকারত্বের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস। এটা দশ বছরের একটি পরিকল্পনা। তাই সামগ্রিকভাবে তাদের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

তবে কুশনারের নতুন এই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। তাদের দাবি, কথিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই অর্থ সহায়তার লোভ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সারা বিশ্বই ওয়াশিংটনের বিতর্কিত শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করবে বলেও দাবি ফিলিস্তিনি নেতাদের।

হাজেম কাশিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানের কথা বলছে। কিন্তু তারাই একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন তা প্রমাণ করেছে। তারা যে ৫ হাজার কোটি ডলার সহায়তার কথা বলছে, তা কখনোই ফিলিস্তিনিদের কল্যাণে ব্যয় হবে না। সব অর্থ যাবে ট্রাম্পের জামাতা কুশনারের পকেটে।

কেবলমাত্র রাজনৈতিক উপায়েই ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধান সম্ভব বলেও মত দেন ফিলিস্তিন নেতা এবং সাধারণ জনগণ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর