বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ৩৮২ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছিল বাংলাদেশ। বড় জুটির পথ তৈরি করেও ভুল সময়ে উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভুল সময়ে উইকেট হারানোর আক্ষেপ ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের।
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে তামিম বলেন, ‘আমাদের এত বড় বড় রান তাড়া করার অভিজ্ঞতা বেশি নেই। আমি যেমন স্কোরবোর্ডের দিকেই তাকাচ্ছিলাম না। চেষ্টা করছিলাম, ৩০ ওভারের মধ্যে আমরা যেন ১৮০-২০০ রানের মধ্যে থাকতে পারি। তাহলে শেষ ২০ ওভারে সুযোগ নিতে পারব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি ভুল সময়ে আউট হয়ে গেলাম, সাকিবও আউট হয়ে গেল। ভালো জুটি হচ্ছিল আমাদের। আমরা ভালো খেলেছি, তবে ভুল সময়ে উইকেট না পড়লে খুবই ভালো হতো।’
বিশ্বকাপের শুরু থেকে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে আগের চার ম্যাচে তামিম রান- ১৬, ২৪, ১৯ ও ৪৮। অবশেষে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ৬টি চারে ৭৪ বলে ৬২ রান করেন তামিম। এই ইনিংসের পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন তামিম, এমনটাও জানান তিনি, ‘আমার হয়তো হিসেব মতো সব যাচ্ছে না। তবে এখন আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি। শুরুতে মানসিকভাবে একটু খারাপ অবস্থা পার করেছি। এই দুই ইনিংসে আত্মবিশ্বাস একটু হলেও ফিরেছে। ভাগ্য ভালো হলে ইনিংসগুলো বড় হতে পারত। যে শট খেলতে গিয়ে আউট হলাম, এই শট সাধারণত আমি ভালো খেলি।’
৬ খেলায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ল টাইগারদের। কারণ এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা প্রথম চার দল সেমিফাইনালে পথে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে।
এ অবস্থাতেও শেষ তিন ম্যাচে জয় দিয়ে সেমিফাইনালে যাবার আশা করছেন তামিম, ‘এখনও সুযোগ আছে। দলের সবাই একটি কথাই ভাবছে, তিন ম্যাচ জিতলে একটি সুযোগ আসতে পারে। এখনও এই অবস্থাতেই আছি আমরা। কখনও যদি এরকম অবস্থা আসে যে কোনো সুযোগ আর নেই, তখন পঞ্চম স্থানের কথা ভাবব।’
ম্যাচ হারের পরও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলেন তামিম, ‘ইতিবাচক দিক হলো গত দুই ম্যাচেই আমরা পরে ব্যাট করে তিনশ’র বেশি রান করেছি। এতে একটা বিশ্বাস ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আসবে যে, আমরা যদি ৩২০-৩৩০ এর মধ্যে রাখতে পারি তাহলে সুযোগ থাকে। আমরা এই জিনিসটা বিশ্বাস করা শুরু করেছি, এটা ভালো। আসলে সবাই কিছু না কিছু ভুল করেছি বলেই পারিনি। পরের ম্যাচগুলোতে চেষ্টা থাকবে ভুল যেন না হয়।’
Leave a Reply