রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯
  • ৫২১ সময় দেখুন

ঢাকা, ২০ জুন ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও আয়ের উৎস সম্পর্কে তথ্য না দেওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি শ্যামপুরের দনিয়ার এ কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত আছেন। তিনি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটেরও চেয়ারম্যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (ঢাকা জেলার সমন্বিত কার্যালয়) সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগে ২০১৭ সালের জুন মাসে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এই অধ্যক্ষ কমিশনে ভুল তথ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন। যেটা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী অপরাধ। অধ্যক্ষ তার বিবরণীতে এক কোটি নয় লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া এক কোটি ৩১ লাখ টাকা আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় দুদক। এরপর তার সম্পদের বিবরণ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জুলাইয়ে তিনি তার সম্পদের বিবরণ কমিশনে জমা দেন। যেখানে স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে তিন কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২৪ টাকা এবং অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দেখান। এরমধ্যে কুমিল্লার হোমনা থানার মানিকচরে ২৭ শতাংশ জমির উপর নির্মিত স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় এক লাখ টাকা, রাজধানীর সবুজবাগে দুইতলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৭ লাখ সাড়ে ৯১ হাজার টাকা এবং ডেমরার কদমতলীতে পাঁচতলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৬০ লাখ টাকা দেখানো হয়। বিপুল এই সম্পদের তদন্তে নামে কমিশনের একজন সহকারী পরিচালক।

তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার স্থাপনা ও ভবনের নির্মাণ খরচ অনুসন্ধানে গণপূর্ত ও রেলওয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে দিয়ে নির্মাণ ব্যয় প্রতিবেদন তৈরি করেন। এতে দেখা যায় অধ্যক্ষের স্থাবর সম্পত্তির সঙ্গে এক কোটি নয় লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ টাকা অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া এক কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৩ টাকা আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি। যা সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর