শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন

সাধু মেলা জমে উঠেছে শিল্পকলা একাডেমীর নন্দনমঞ্চে  : এসেছিলেন সংস্কৃতি এবং আইন উপদেষ্টা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৭ সময় দেখুন

বিনোদন ডেস্ক, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সব ধর্ম, বর্ণ, মত ও পথের মানুষের জন্য খোলা। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই তাঁদের পরিবেশনার ভেতর থেকে গান দিয়ে, শিল্পকর্ম দিয়ে তাদের চিন্তাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।’ এমনটাই বললেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে আয়োজন করা হয় সাধু মেলা ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’।

 

সাধুমেলা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ওয়ারেছ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধু মেলা দেখতে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ উপস্থিত হন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

 

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘মরমি গানের ভেতরে একেবারে মাঝখানে আছেন আমাদের মধ্যমণি লালন সাঁইজি। লালন শাহ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেন, জীবনের চেতনা দান করেন, আমাদের দিকনির্দেশ করেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মানুষকে ভালোবাসার কথা বলেন। আর সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে, এদের ওপরই আক্রমণটা বেশি হয়। যেহেতু তারা দুহাত তুলে মানুষকে ভালোবেসে আলিঙ্গন করতে চান, সেহেতু সুযোগ পেলে তাদের ওপর নানাভাবে আক্রমণ হয়। আমরা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানাই এবং এগুলো বন্ধের আহ্বান জানাই।’

 

শিল্পীদের উদ্দেশ করে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছ থেকে শিখেছি যে কাজের মধ্যেও  কীভাবে সাধনা করা যায়। আমার জীবনের লক্ষ্যটা কী, আমি কোথায় যেতে চাই, কী করতে চাই—সেটি আপনি এবং আপনারা গান গাওয়ার ভেতরে, গান চর্চার ভেতরে খুঁজছেন। বাংলাদেশে এখন এটিই কিন্তু আমাদের একটা লক্ষ্য দিতে পারে। আমরা যখন এত বিশৃঙ্খলা, এত অস্থিরতা, এত দুশ্চিন্তা, চারদিকে এত নৈরাজ্যমূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তখন এর ভেতরে আমরা আপনার কাছ থেকে এবং আপনাদের মতো বাউল সাধকদের কাছ থেকে শান্তির কথাই শুধু পাই, আমরা নতুন চিন্তার পথ দেখতে পারি। আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের কোন দিকে যাওয়া উচিত।’

 

সৈয়দ জামিল আহমেদের ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সকল ধর্ম, বর্ণ, মত, পথের মানুষের জন্য খোলা। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই, তাঁদের পরিবেশনার ভেতর থেকে গান দিয়ে, শিল্পকর্ম দিয়ে তাঁদের চিন্তাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে। আমাদের কাজই এটা। সবাই সবার মতো করে তাঁর শিল্পকর্ম, তাঁর গান, তাঁর ছবি, তাঁর ফিল্ম প্রদর্শন করার মাধ্যমে তাঁদের কথাগুলো প্রচার করেন। জনগণ বুদ্ধিমান, জনগণ বোকা না। তাঁরা তাঁদের মতো করে পথটা খুঁজে নেবেন। আশা করি, আপনাদের মনে এমন বীজ বপন হবে, যার ভেতর থেকে আপনিও আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সামাজিক জীবনের দিকনির্দেশনা আপনি নিজেই খুঁজে পাবেন।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর