ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ বুধবার সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবি পার্টি । এরপর সাংবাদিকদের আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এক নয়, তবে দুটির মধ্যে অদ্ভূত মিল আছে।’
মঞ্জু উপস্থিত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চব্বিশের আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্যের পক্ষে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ঠিক যে কারণে একাত্তরে আমাদের যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধ ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াই। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই মুক্তির অন্তরায়গুলো দূরীকরণের সংগ্রাম। সেই জন্য এই গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশ ২.০ বলা হচ্ছে।’
মঞ্জু বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। তবে উভয়ের মধ্যে অপরূপ মিল রয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই হানাদাররা নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে এবং তারপরই মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু চব্বিশের হানাদাররা আত্মসমর্পণ না করে হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের বাংলাদেশে বিচারের চ্যালেঞ্জ, সংস্কারের চ্যালেঞ্জ। তার চেয়েও বড়ো চ্যালেঞ্জ দেশটাকে স্থিতিশীল রাখা। এতসব চ্যালেঞ্জ থাকলেও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটা মুক্তির মঞ্জিলে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে স্বপ্ন পূরণ না হওয়াতেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যে প্রত্যাশা তরুণরা সৃষ্টি করেছে, সেটি নিভে যাওয়ার মতো নয়।’ সংস্কারবিহীন নির্বাচন অর্থবহ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল , জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্বাস ইসলাম খান নোমান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরী, ছাত্রপক্ষের সদস্যসচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, সহ-কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরন চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারি, সহ-অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, যুবনেতা ইমরান হোসেন শিবলু, যুবনেত্রী ইশরাত জাহান লীজাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply