২৪২ তম স্বাধীনতা দিবসে প্রথমবারের মতো রীতি ভেঙে সামরিক কুচকাওয়াজ হলো যুক্তরাষ্ট্রে। এক মাইল দীর্ঘ এই কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ৭৫০ থেকে ৮০০ সেনা সদস্য। এ সময় ট্যাংক, শক্তিশালী বি-ফিফটি টু স্টিলথ বোমারু বিমান ও সর্বাধুনিক ব্লু অ্যাঞ্জেলসের বহরও ছিল।
রাজধানী ওয়াশিংটনের জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাছে হাজার হাজার মানুষ মুগ্ধ নয়নে সামরিক কুচকাওয়াজ ও বিমান বাহিনীর কসরত উপভোগ করে। তারা আতশবাজির চোখ ধাঁধানো ঝলকানিও উপভোগ করে। তাদের দাবি, এত মনোমুগ্ধকর আতশবাজির ঝলকানি তারা কখনো দেখেনি। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ওয়াশিংটনের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আব্রাহাম লিঙ্কনের বিশাল ভাস্কর্যের সামনে ট্রাম্প এই ভাষণ দেন। এ সময় তিনি ‘রাজনৈতিক বিভক্তি’ ভুলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
২০ মিনিটের ভাষণে ট্রাম্প গত আড়াইশ বছরে সেনাবাহিনীর সদস্য ও আমেরিকার নায়কদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ‘কি অসাধারণ দেশ! আমেরিকানদের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে আমেরিকা সবচেয়ে শক্তিশালী।’
মেক্সিকো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও শুল্ক এজেন্সির সদস্যদের আলাদা করে প্রশংসা করেন। সমালোচকরা ধারণা করেছিল, ট্রাম্প তাঁর ভাষণে রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন। কিন্তু তিনি নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নীতি সম্পর্কে কোনো বক্তব্যই দেননি।
বিগত প্রায় ৭ দশকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লিঙ্কন মেমোরিয়াল হলে কোন প্রেসিডেন্ট বক্তব্য দেননি। সর্বশেষ, ১৯৬৩ সালে নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ শিরোনামে তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন।
তবে ট্রাম্পের ভাষণের সময় তাঁর বিরোধীরা ‘বেবি ট্রাম্প’ উড়িয়ে রাখে। এ বেবি ট্রাম্প উড়ানোর জন্য পূর্বেই তারা অনুমতি নিয়েছিল।
Leave a Reply