বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

সৌদি আরবে দোররা বা চাবুক মারার প্রথা বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ১১৮ সময় দেখুন

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আসা আইনি নথিপত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে দোররা বা চাবুক মারার প্রথা বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয় চাবুক মারার বদলে কারাদণ্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেয়া হবে। খবর বিবিসির।

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি সংস্কারের অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন করতে যাচ্ছে তারা।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের কারাদণ্ড দেয়া এবং সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় সম্প্রতি সৌদি আরবের সমালোচনা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাম্পেইনারদের মতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতি যেসব দেশে, সৌদি আরব তাদের মধ্যে একটি। সেখানে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা খুবই সীমিত এবং সরকারের সমালোচকদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

চাবুক মারার শাস্তির বিষয়টি শেষবার বিশ্বব্যাপী আলোচনা তৈরি করেছিল ২০১৫ সালে, যখন ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হয়। রাইফ বাদাউইকে দশ বছরের জেল এবং এক হাজার চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

বাদাউই’র কারাদণ্ড চলাকালীন ওই এক হাজার চাবুক প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার চাবুক মারাও হয়। কিন্তু ওই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলস্বরুপ রাইফ বাদাউইর চাবুক মারার শাস্তি স্হগিত করা হয়।

বিবিসি’র আরব সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশারের মতে, ওই ঘটনা সৌদি আরব সরকারের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই চাবুক মারার প্রথা চিরতরে নিষিদ্ধ করতে চাইছে তারা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর