দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ ক্লার্ক ও আইনজীবীর সহকারীকে আটক করা হয় আজ রবিবার দুপুরে। পরে মুচলেকা নিয়ে এবং সতর্ক করে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে অন্য কার্যক্রমে ব্যস্ততা দেখানোয় ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে আইন অঙ্গনের অনেকেই নানা সময় কথা বলেছেন। সম্প্রতি আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকেও প্রধান বিচারপতিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে আজ এফিডেভিট শাখায় অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটি পবিত্র বিচারাঙ্গন। এখানে ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধে আমরা সবাই শরিক হতে চাই। তবে প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়াও আমাদের কাজ করা সম্ভব না। তাই আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে, আমাদের এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাই ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, আদালতাঙ্গণে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। আমরা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছিলাম। আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনে একটি ঝটিকা অভিযান পারিচালিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে সেখানে ৪৩ ক্লার্ক ও আইনজীবীর সহকারীকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ৪৩ জনকে আটকের পর বার নেতৃবৃন্দদের খবর পাঠানো হলে বারের সম্পাদকসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এরপর জানতে পারি, আটক ব্যক্তিরা নিজ শাখায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে অন্য কার্যক্রমে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তাদের আটক করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ শেষে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখাসহ বিভিন্ন শাখায় দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ প্রধান বিচারপতির কাছেও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply