আমাদের ঢাকা টিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঈদের ছুটিতে এক এনজিও কর্মী স্বপরিবারের গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে সিলেটের ওসমানী নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালকসহ একই পরিবারের ৪জন ঘটনাস্থলে নিহত হলেও অলৌকিক বেচেঁ যাওয়া তাদের বড় সন্তানটি ও আজ রোববার ভোররাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শনিবার ভোরে একটি প্রাইভেট কারযোগে স্বপন কুমার দাস, তার স্ত্রী লাভলী রানী দাস ও তিন ছেলেকে নিয়ে নিজে বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামে ফেরার পথে ওসমানী নগর এলাকায় কুমিল্লা ট্রার্ন্সপোর্টের একটি ঘাতক বাস প্রাইভেট কারটিকে চাপা দিলে মুহূর্তের মধ্যেই দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে যায় পুরো পরিবারটি।
আজ রোববার বিকেল নাগাদ ময়না তদন্ত শেষে বড় ছেলে সৌরভের লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামারচরে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। নিহত চারজনের লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামারচরে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। খবর শুনে আশপাশের শত শত মানুষ জড়ো হন নিহতের বাড়িতে অনেকইে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি। খবর পেয়ে নিহতের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজ্ঞুর আলম চৌধুরী, চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার ও কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা কমরেড বাবু অমর চান দাস,বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ আজিজুল হক প্রমুখ।
Leave a Reply