মামুন মিঞা-ফরিদপুর, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ফরিদপুরের সালথায় মেলার মধ্যে তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কাসেম বেপারী -২৮- নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরকে। এ ছাড়া গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাফর মোল্যাসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ১৮ অক্টোবর সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি আতাউর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত কাসেম বেপারীর বাবা পান্নু বেপারী বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার নামীয় একজন আসামিকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিস্হিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানাযায়।
গত মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর বিকেলে কাসেম বেপারী ও মিলন নামে দুই যুবক উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের ইমামবাড়ি নৌকাবাইচ ও মেলা দেখতে যান।
তাদের সঙ্গে এক তরুণীও ছিল। মেলার ভেতরে কেনাকাটার সময় কাসেম ও মিলনের সঙ্গে এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন স্থানীয় জয়ঝাপ গ্রামের মুসা মোল্যার মাদকাসক্ত ছেলে বাহাদুর মোল্যা-২৩-নামে তরুণ।
এ সময় কাসেম ও মিলন প্রতিবাদ করলে বাহাদুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছোট দুই ভাইকে ডেকে আনে। পরে বাহাদুর -২৩- ও তার ভাই তৈয়াব -২০- এবং সোহেলসহ -১৮- কয়েকজন তরুণ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কাসেম ও মিলনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা কাসেম কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কাসেম একই ইউনিয়নের মধ্যবালিয়া গট্টি গ্রামের পান্নু বেপারীর ছেলে। এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাদীপক্ষের লোকজন স্থানীয় বালিয়া বাজারে থাকা জয়ঝাপ গ্রামের মোশারফ তালুকদারের সারের দোকান থেকে কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া পাটপাশা গট্টি এলাকার হারেজ মাতুব্বর, মোফাজ্জেল, ইকরাম, ওমর মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে,পূর্বশত্রুতার জেরে প্রধান আসামি ওয়াদুদ মাতুব্বরের নির্দেশে অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাসেম বেপারীকে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, কাসেম হত্যার মামলা তদন্তের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
Leave a Reply