বুধবার বিকালে সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যবিমা চালু করার পরিকল্পনা আছে।’পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্যবিমা চালু করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিমা চালুর পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় স্বাস্থ্যবিমা চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-২০৩২’ প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য টাঙ্গাইল জেলায় মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলায় ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম চালু করেছি।
এ কৌশলের অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি-এসএসকে’ শীর্ষক পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ৭৮টি ভর্তিযোগ্য রোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির পাইলট প্রকল্প সম্প্রসারণ করে টাঙ্গাইল জেলার অবশিষ্ট নয়টি উপজেলাও এর আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, কালিহাতি, ঘাটাইল ও মধুপুরের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ৮১ হাজার ৫২৮টি পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন করে ৮১ হাজার ১৭৭টি পরিবারের মধ্যে এসএসকে কার্ড বিতরণ করার হয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ‘হেলথ ইকোনমিকস’ ইউনিটের আওতায় পরবর্তী সময়ে সারাদেশে স্বাস্থ্যবিমা চালু করার মাধ্যমে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এসএসকে পাইলটিং সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এসএসকের অধীনে ওই এলাকার দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে আন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগী সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অচিরেই সীমিত সংখ্যায় রোগীদের বহিঃবিভাগীয় সেবা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply