শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে খেলবেন না : বলেছেন, নজরুল ইসলাম খান

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯
  • ২৩০ সময় দেখুন

আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্রমিক দলের মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে খেলবেন না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদ ভবনের নকশায় জিয়াউর রহমানের কবর নেই জানিয়ে তা সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বীর উত্তম শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে খেলবেন না। দেশের মানুষ তাকে কি পরিমাণ ভালোবাসে তার মৃত্যুর পরে জানাজায় দেখেন নাই। কবর সরানোর চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ অবস্থান গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, মোজাম্মেল সাহেবদের কাছে পাকিস্তানের করা নকশা এতো পছন্দ হয়ে গেছে কেন? পাকিস্তানের করা ডিজাইন বাস্তবায়নের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে দিতে হবে? আপনাদের তো পাকিস্তানকে এতো ভালোবাসার কথা নয়।

সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে বাজেট দিয়েছেন তা শ্রমিক বান্ধব নয়, কৃষক বান্ধব নয় এবং ব্যবসা বান্ধবও নয়। এই বাজেট ব্যবসায়ী বান্ধব। এতে যারা ব্যবসা করে তাদের মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। কোনো কাজে আসবে না। কারণ এই বাজেট বিদেশে পাচার হয়ে যায়। বিএনপির সুইস ব্যাংকে রাখার অর্থ নেই। সব কিছু লুটপাট করার জন্যই ব্যবসায়ী বান্ধব বাজেট দিয়েছেন আপনারা, যাতে শ্রমিকের কোনো কল্যাণ নেই, কৃষকদের কল্যাণ নেই।

নজরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। সেই টাকা সুইচ ব্যাংকে জমা হয়েছে কিনা তা তিনি দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি সাধারণ জিনিস ভুলে যান। আপনি বলবেন, আর মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে? কিন্তু এই অর্থ বছরে কত টাকা পাচার হয়েছে সেই রিপোর্ট তো এখনো প্রকাশ হয়নি। আর যে টাকা পাচারের রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেটা কোন মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা? সেই রিপোর্ট আপনারা প্রকাশ করছেন না কেনো?

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ৪০ হাজার কোটিরও বেশী টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব কাদের টাকা? জনগণ ও বাংলাদেশের টাকা। এই টাকা কারা পাচার করলো? সে বিষয়ে তো আপনি কোনো খোঁজ নিচ্ছেন না। আর আপনি ভয়ঙ্কর একটি রিপোর্ট দিলেন! আরে ৩০০ আসনে মনোনয়ন বাণিজ্য করলে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে?

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বগুড়ার-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনের জয় নিয়ে আমরা অবাক হয়নি। কারণ ওই আসনে বিএনপির যে কেউ নির্বাচন করেছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু আজকে পত্রিকায় দেখলাম, যেখানে মোট ভোটের অর্ধেক ভোট পড়েনি, সেখানে কোন কোন কেন্দ্রে ৯৭-৯৮ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। এমনকি ১০০ শতাংশও ভোট দেখানো হয়েছে! তাই যে যন্ত্র দিয়ে এটা যোগ-বিয়োগ করা হয়েছে, সেই যন্ত্র দিয়ে কাজ হবে না।

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না, তা আপনারাই তো ভালো জানেন। ৬ দফার পরে বহু নেতা গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু ৭০ এর নির্বাচনে কি আপনাদের হারাতে পেরেছে? আজও একটি নির্বাচন দিয়ে দেখুন না, কিভাবে আপনারা বিএনপির কাছে হেরে যান দেখবেন।

শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান সরোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর