বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকার বড় ঈদের জামাত পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫
  • ৯ সময় দেখুন

ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): লক্ষাধিক মুসুল্লির অংশগ্রহণে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা উত্তরের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাতের পর এই মাঠ থেকেই বের হয় এক বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দমিছিল।

 

লক্ষাধিক মুসুল্লিসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে এই ঈদ আনন্দমিছিলে। মিছিলটি বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আগত সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়। পাশাপাশি চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঈদমেলা।

 

ঈদের জামাত ও ঈদ আনন্দমিছিলে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

 

ঈদের জামাতে অংশ নিতে সকাল ৭টার আগে থেকে দলে দলে মুসুল্লিরা আসতে থাকেন পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে। সাড়ে ৭টার মধ্যে নির্ধারিত মূল প্যান্ডেল মুসুল্লিতে পরিপূর্ণ হয়। পরে মূল প্যান্ডেলের বাইরে হাজার হাজার মানুষ নামাজের জন্য অবস্থান নেন, বাণিজ্য মেলার পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেলের বাইরেও আগত মুসুল্লিদের নামাজের সুবিধার্থে কার্পেট বিছানো ছিল। লক্ষাধিক মুসুল্লির অংশগ্রহণে সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।

 

ডিএনসিসির উদ্যোগে আয়োজিত এই ঈদের জামাতে ওজুর জন্য পৃথক স্থান, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ বরাদ্দ রাখা হয়। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য ছিল আলাদা ব্যবস্থা। ১০০টি মাইকের মাধ্যমে পুরো জামাত এলাকায় সাউন্ড সিস্টেম নিশ্চিত করা হয়। ছয়টি প্রবেশ ফটক দিয়ে মুসুল্লিরা মাঠে প্রবেশ করেন। মুসল্লিদের সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুরো মাঠ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়। মাঠে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মাঠজুড়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন বিএনসিসি, স্কাউটের সদস্যরা। এছাড়া সেনা সদস্যরাও মাঠে পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছিলেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর