আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হলেও, কক্সবাজারসহ আশপাশের অঞ্চলের বন ধ্বংস হয়েছে
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পরনির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্বে শতকরা ৯১ ভাগ মানুষ বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে না, আতঙ্ক জাগানিয়া এ তথ্য জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘ বলছে, বায়ু দূষণে সারা বিশ্বে মৃত্যু ঘটছে ৭০ লাখ মানুষের। বাংলাদেশেই এই সংখ্যা ২ লাখের মতো।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রতি বছরের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হলেও, দেশে এ বছর দিবসটির মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) । রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠান থেকে উদ্বোধন করা হয় জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানেরও।
অনুষ্ঠানে বনাঞ্চলের ক্ষতির নানা কারণ তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় বন ধ্বংস হয়েছে। মানবতার কারণে স্থান দিতে হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে অবস্থান করছে। বন তো আগেই কিছু নষ্ট হয়েছিল আর এখন তো পুরাই শেষ। ঠিক এভাবে মানব সভ্যতার যখন বিকাশ হয় তখন বনায়নও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ সময় তিনি জানান, সুন্দরবন রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েই এগুচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, আমাদের সুন্দরবন যথাযথভাবে রক্ষায় আমরা সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কারো মুখাপেক্ষী নয় বাংলাদেশ।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদান রাখায় তিনজনকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার, বৃক্ষরোপণে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার এবং সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের হাতে চেক তুলে দেন। এছাড়া, ঐ অনুষ্ঠান থেকেই তিনি উদ্বোধন করেন পরিবেশ ভবন ও গাজীপুরে শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের।
Leave a Reply