রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন

রিকশা চালকদের অবরোধে ভোগান্তি চরমে : নগরজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯
  • ১২৫ সময় দেখুন

ঢাকার তিন সড়কে রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছে রিকশা শ্রমিকরা। সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভের কারণে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। নগরজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মুগদাপাড়ায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার রিকশা চালক। দাবি আদায়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া না হলে বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

গত ৩ জুলাই পৃথক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গত রবিবার থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হয়।

যে তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো গাবতলী থেকে মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর; সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ এবং কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রধান সড়কে। ভবিষ্যতে রিকশা চলাচল বন্ধের তালিকায় আরও সড়ক যুক্ত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে সিটি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রিকশা চালকরা। এর প্রতিবাদে গতকাল মুগদায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। আজও রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড ও মুগদায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা। অনেককে রাস্তায় ক্রিকেট খেলতেও দেখা যায়।

সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের কারণে প্রগতি সরণি হয়ে মালিবাগ থেকে রামপুরা হয়ে কুড়িলের দিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া মালিবাগ থেকে সায়েদাবাদ যাওয়ার সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে অন্য সড়কগুলোতে। বিশ্বরোড থেকে রামপুরা যাওয়ার সড়কে সকাল থেকে দেখা দিয়ে তীব্র যানজট। যানবাহনের সারি পড়ে আছে সড়কের দুদিকে। গরমে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও গন্তব্যে যেতে পারছেন না নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে পথ ফুরাচ্ছে না। চরম দুর্ভোগে পড়ে অনেকে উপায় না পেয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।

রফিকুল ইসলাম নামে বেসরকারি একটি কোম্পানির চাকরিজীবী বলেন, বিশ্বরোড থেকে নতুনবাজার আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। বাস যেন এগোচ্ছেই না। দুই মিনিট চললে ২০ মিনিট যানজটে আটকে থাকে।

বিশ্বরোড এলাকায় জামান নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী জানান, তার অফিস রামপুরায়। তিনি দুই ঘণ্টা ধরে বসে আছেন। তীব্র গরমে বাসে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত বোধ করছেন তিনি। শেষমেষ হেটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর