আজ শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। সরকারের পাশাপাশি নেতাকর্মীদেরও বন্যা দুর্গতের পাশে দাঁড়াতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষের সুখ দু:খের সাথী হতেও নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু মানুষ গণতন্ত্র চায় না বলেই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও সমালোচনা করে।
গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় এ বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার সজাগ রয়েছে তবে ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে এ বিষয়ে সক্রিয় থাকতে হবে আওয়ামী লীগকেও।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক জায়গায় বন্যা হচ্ছে, পানি বাড়ছে, নদী ভাঙ্গন, পাহাড় ধ্বস হতে পারে। সারাদেশে কোথায় কি হচ্ছে আমরা প্রতিনিয়ত খবর নিচ্ছি। এবং সেখানে যার যেটা দায়িত্ব সেটা দেওয়া আছে, তারা সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বগুলো পালন করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দলকে সক্রিয় থাকতে হবে। কারণ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক দশকের অব্যাহত উন্নয়নের কারণেই বিশ্ব দরবারে দেশ আজ মর্যাদা লাভ করেছে। কিছু মানুষ এ উন্নয়ন চায় না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যতদূরেই আগাই, কিছু মানুষ এটাকে ভিন্ন চেখে দেখে। এরা আসলে গণতান্ত্রিক ধারাটা চায় না। গণতান্ত্রিক ধারাটা হলে আমার মনে হয়, তারা নিশ্বাস নিতে পারে না। নেতাকর্মীদের সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী চিন্তা করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমরা দেশকে কোথায় নিয়ে যাবো সে পরিকল্পনা আমাদের আছে। সেটা আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি। এগিয়ে নেওয়ার সেই প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে। সেই পথগুলো আমাদের ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাঁধাগুলি আমাদের অতিক্রম করতে হবে।
উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে এবারও বাড়ছে নদনদীর পানি। ফলে ফের শঙ্কায় পড়েছেন উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাজারো মানুষ।
Leave a Reply