মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩ সময় দেখুন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। এ শহরেই ৬৯৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটির জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

 

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং দেশটির গৃহযুদ্ধের ফলে চলমান অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার কারণে দুর্যোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে।

 

দেশটির সামরিক নেতারা আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য একটি বিরল আবেদন করেছেন, যার মধ্যে প্রতিবেশী চীন এবং ভারত প্রথম সাহায্য পাঠিয়েছে।

 

শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেছে, যার প্রভাব প্রতিবেশী থাইল্যান্ড পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে।

 

“আমরা খালি হাতেই মানুষদের মাটি খুঁড়ে বের করছি,” ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে খুব বেশি দূরে মান্দালয়ে একটি দল বিবিসিকে বলেছে।

 

একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছেন, “মান্দালয়ে বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে এবং মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছে না।”

 

মিয়ানমারের জান্তা সরকার মৃতের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এখন এটি ১০০২ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে ২৩৭৬ জন।

 

এর আগে দেশটির সামরিক নেতৃত্ব জানিয়েছিল যে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। একটি হালনাগাদ সামরিক বিবৃতি অনুসারে, এই প্রাণহানি কেবল মান্দালয় শহরেই ঘটেছে।

 

মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ভূমিকম্পে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

থাইল্যান্ডে সকলের দৃষ্টি এখন ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি অসম্পূর্ণ আকাশচুম্বী ভবনের দিকে। অসম্পূর্ণ বহুতল ভবন ধসের পর উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় সরকার কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ এবং ছয়জন নিহত হয়েছেন।

 

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয় আশপাশের অঞ্চলে।

 

মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও।

 

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর