ভারতে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লির তাবলিগ জামাতে অংশ নেয়া এবং পরবর্তী সময়ে তথ্য গোপন করে লুকিয়ে থাকার অভিযোগে পাঁচশোর বেশি বিদেশিকে বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনে মামলা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কয়েকজন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। বাংলাদেশি ছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিদের তালিকায় রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশের নাগরিক। পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে এসে ধর্ম প্রচারের কাজে যুক্ত থাকা এবং ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভিসানীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। সেখানকার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, রাজ্যে ৩৪১ জন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার ৮০ শতাংশই বাংলাদেশি।
এরা সকলেই তাবলিগ জামাতে অংশ নিয়েছিল। পরে রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে লুকিয়ে ছিল। এদের কয়েকজনকে আশ্রয় দেবার অভিযোগে এক অধ্যাপককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিয়াণাতে এর আগে ১৯ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের থানেতে মুম্বাই পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি,৮ জন মালয়েশিয় এবং বাকীরা ভারতীয়। এ্রা সকলেই দিল্লির তাবলিগ জামাতে অংশ নিয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে ১ এপ্রিল মামলা করা হলেও এতদিন গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিন কোয়েরিন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদেও বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোবলিা আইন ও ফরেনার্স আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
Leave a Reply