রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুই যুবতী

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯
  • ১৭৩ সময় দেখুন

ভারতের বারানসিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুই যুবতী। তারা একে অন্যের গলায় মালা, মাথায় সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন। এরপর মন্দির থেকে বেরিয়ে চলে যান। তবে ওই দুই যুবতীর নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি। ওই দুই যুবতী কাজিন। তাদেরকে কোনো পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিলে তারা আলাদা হয়ে যাবেন, এ জন্য তারা একজন আরেকজনকে বিয়ে করেছেন। যাতে তারা চিরদিন একসঙ্গে থাকতে পারেন। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই এ খবর বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ভারতে। ঘটনাটি ঘটেছে বারানসির ধাগড়বীর হনুমান মন্দিরে।

মঙ্গলবার জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট পরা ওই দুই যুবতী ওই মন্দিরে গিয়ে উপস্থিত হন। তারা সেখানে বিয়ের ওড়না পড়েন। তারপর মালা বদল করেন। মাথায় পরে নেন সিঁদুর। এর মধ্য দিয়ে তারা একজন অন্যজনকে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

স্থানীয় সময় দুপুর একটায় কুরসাটো গ্রামের এক যুবক-যুবতীর বিয়ে হচ্ছিল একটি মন্দিরে। তখন অটোতে করে সেখানে হাজির হন ওই যুবতী। তারা গোপালজিকে ডাকতে থাকেন। গোপালজি মন্দিরের বিভিন্ন হিসাব ও রেকর্ড সংরক্ষণ করেন। এ সময় তারা বলেন, তারা কানপুর থেকে সেখানে গিয়েছেন। বিয়ে করতে চান। গোপালজি বলেন, তিনি তাদের কাছে বর কই জানতে চাইলে তারা বলেন, তারাই একজন অন্যজনকে বিয়ে করবেন। তারা বলেন, তারা কাজিন। খুব ভাল বন্ধু। সারাজীবন এক সঙ্গে কাটাতে চান। ওই দুই যুবতী বলেন, অন্য কারো সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাদের পরিবার আলাদা করে দেবে তাদেরকে।

এমন কথা শুনে মন্দিরের ভিতরে তাদের বিয়েতে কোনো সাহায্য করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন গোপালজি। এ সময় তারা মন্দিরের ভিতরে থাকা অন্যদের কাছে জানতে চান, কোথায় বিয়ে পড়ানো হয়। তাদেরকে একটি শিব মন্দিরের খবর দেয়া হয়, যা ধাগড়বীর হনুমান মন্দির চত্বরে। ঠিকানামতো তারা সেখানে চলে যান। এই মন্দিরের একজন পুরোহিত বাচানু বলেন, ওই দুই যুবতী মন্দিরের ভিতরে গিয়ে বসেন কয়েক মিনিটের জন্য। তারপরই তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে বিয়ের ওড়না বের করে তা পরে ফেলেন। তারা প্রার্থনা সেরে একে অন্যের মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেন। তারপর দেবদেবীদের সামনে মালা ও মঙ্গলসূত্র বদল করেন।

এ সময় ওই মন্দিরের মধ্যে আরেকটি বিয়ে পড়াচ্ছিলেন আরেক পুরোহিত শিব শঙ্কর তিওয়ারি। তিনি বলেন, অন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা মানুষে ভর্তি ছিল মন্দির। তারা সবাই ওই দুই যুবতীর কাণ্ডকারখানা দেখছিল।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর