আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো আশা নেই জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেছেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত, তার সরকারের কিছু করার নেই।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। লম্বা সময় ধরে থাকলে বিশ্বের অন্যান্য জায়গা মতো তারা উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে। রাখাইন রাজ্যের উন্নয়ন তাদের নিশ্চয়তা এবং মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে ক’’জন বৃটিশ হাইকমিশনার ঢাকায় ছিলেন, ডিক্যাব টকে সবার কাছেই সাংবাদিকরা জানতে চান, তারেক রহমানের বিষয়ে। নিজের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ডিক্যাব টকে ডিকসনকেও ব্যাখা করতে হয় বিষয়টি।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে তারেক রহমানের ব্যাপারে বলছি না। তবে যে কেউই যুক্তরাজ্যের আদালতে আশ্রয় গ্রহণ করলে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সরকারের কিছুই করার নেই।’
নাফ নদীতে জল গড়িয়েছে অনেক। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুটি এখনো রয়ে গেছে আলোচনার খাতাতেই। বিশ্বের দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে শক্ত অবস্থানে। তবে এ ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে উল্টো অবস্থান চীন ও রাশিয়ার।
এ দুটি দেশকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশ চায় সমাধান। ডিক্যাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অবশ্য মনে করেন, কাজটা কঠিন হলেও নিরাপত্তা কাউন্সিলের মাধ্যমে সমাধানই শ্রেয়।
গত বছর ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ব্রিটিশ ভিসা পেয়েছেন জানিয়ে ডিকসন বলেন, ‘আবেদনকারীদের ৭০ ভাগই ভিসা পান। আরও সহজ করার চেষ্টা চলছে এ প্রক্রিয়া।’
Leave a Reply