রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুর হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯
  • ৪৩১ সময় দেখুন

দুদকের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লল্ডারিং আইনের ওই মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আগাম জামিন পেয়ে গত ১ জুলাই ডিআইজি মিজানের সঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এসআই মাহমুদুর। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্ল্যাহ হিরুসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষ জামিন আবেদনে বলেন, আসামি দুই বছর ধরে পুলিশের এসআই পদে চাকরি করছেন। তার আগে তিনি ব্যবসা করতেন। চাকরি করে তিনি কোনো সম্পদ অর্জন করেন নাই। যা করেছেন চাকরির আগে ব্যবসা করে। তার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল আছে। আর মামলার সম্পদগুলোর আসামি মিজানের। তিনিই নামে বেমানে ক্রয় করেছেন। এ সম্পর্কে এ আসামি কিছুই জানেন না।

এ সময় বিচারক প্রশ্ন করে বলেন, মামলায় অভিযোগ, এ আসামির নামে ব্যাংকে এফডিআর। যার নমিনি আসামি ডিআইজি মিজান কেন? জবাবে আইনজীবীরা বলেন, এ মামলার কোনো সম্পত্তি সম্পর্কে এ আসামি কিছু জানেন না। তিনি ব্যাংকের কোনো কাগজে স্বাক্ষরও করেননি।

এরপর দুদকের প্রসিকিউটর কাজল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে মামলা মানি লন্ডারিয়ের অভিযোগ। তিনি ডিআইজি মিজানকে অর্থ ও সম্পত্তি হস্তান্তর রুপান্তরে সহায়তা করেছেন। এছাড়া এ আসামি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে হাইকোর্ট তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে আত্মসর্মণের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এ পর্যায়ে তার জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এসআই মাহমুদুল হাসান বর্তমানে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ২৪ জুন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ একটি মামলা করেন। জিআইডি মিজান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে মিজানকে পুলিশে সোপর্দ করেন। মামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৫ জুন ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর