পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে, তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও ভোগান্তি কমেনি।
নতুন করে আর বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এরইমধ্যে জেলার এক হাজার ২৬৩ হেক্টর আউশ, ১২৫ হেক্টর আমন বীজতলা ও মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সড়কে পানি ওঠায় ১৫০ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ধসে পড়েছে ১৫০টি সংযোগ সড়ক।
নেত্রকোনার সোমেশ্বরী ও ধনু নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ৫টি উপজেলার ২ শতাধিক গ্রামের সাড়ে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছেন। ত্রাণ পেলেও তা একেবারে অপ্রতুল বলে দাবি বন্যার্তদের।
পার্বত্যজেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে টানা ১০দিন ধরে রাঙ্গামাটির সঙ্গে প্রতিবেশী জেলা খাগড়াছড়ি-বান্দরবানের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন খাল ও নদী ভাঙন। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে হেক্টরের পর হেক্টর ফসলি জমি। সব হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারাও ঘরে ফিরছেন। কিন্তু কয়েকটি সংযোগ সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগ্যপণ্যের দাম তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে বলে দাবি বন্যার্তদের।
Leave a Reply