তপু বড়ুয়া-জেলা প্রতিনিধি (রাঙ্গামাটি), ২৪ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন, সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর, কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান, রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা, জেলা স্কাউটের কমিশনার নুরুল আবছার।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা।
বন হচ্ছে খাদ্যের একটা উৎস। বন থেকে মানুষ খাদ্য, প্রয়োজনীয় উপাদান পান। গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষই বনের উপর নির্ভরশীল। পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি বন না থাকে তাহলে স্থানীয়রা ঠিক মতো খাদ্য পাবে না, নিউট্রেশন পাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন আয়েরও উৎস। এখানে অনেকেই ভেষজ ওষুধের উপর নির্ভরশীল। এখানে বন না থাকলে এসব ওষুধ পাওয়া যেতো না। ঝিরি-ঝর্না থেকে পানি পাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৬৪ শতাংশ মানুষ বনের উপর নির্ভরশীল। বন থেকেই প্রতি পরিবার প্রতি বছর ২১ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় করেন।
সভায় আর বলা হয়, একটা বন নষ্ট হলে সেটাকে ফেরত আনতে একশ বছর লাগে। বন থাকলে কাপ্তাই লেকে পানি থাকবে। বন না থাকলে রাঙ্গামাটি ছাড়াও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ অন্যান্য এলাকাগুলো পানির সোর্স পাবে না। আমরা আহ্বান করব, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেটুকু বন আছে, আমরা তা আর নষ্ট হতে দেব না। তাই বনের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে এই বিষয়গুলো জানাতে হবে।
Leave a Reply