ঢাকা, ২৩ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পটি যেন অর্থনীতির একটি বিষফোঁড়া। এটি নদীবন্দরও বলা যায় না। তবু যেহেতু অনেক কাজ হয়ে গেছে, তাই এটি বাধ্য হয়ে শেষ করতে হবে সরকারকে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পসহ মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুন্দ্রবন্দর তো দূরের কথা, নদীবন্দর বলা যায় না। বাণিজ্য উপদেষ্টা তো বলেছিলেন নদীর নাব্যতা হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়।’
এ প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। যা হোক ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে প্রকল্পটি।’
উপদেষ্টা সরকারি ক্রয় আনের সংশোধনী নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, দুদিন আগে সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। দরপত্রে ১০ শতাংশ দরপ্রস্তাবের সীমা বাদ যাচ্ছে। ফলে একক ঠিকাদার চক্রের কাজ পাওয়া বদ্ধ হবে। সব প্রকল্প অনলাইনে থাকবে এবং শতভাগ দরপত্র ইজিপিতে যুক্ত করতে হবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনা উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply