স্পোর্টস ডেস্ক, ৩০ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সময়টা একবারই ভালো যাচ্ছে না তাদের। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারের ক্ষত ওয়ানডেতে পুষিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ফরম্যাট বদলালেও ভাগ্যে বদল আসেনি পাকিস্তানের।
বোলিংয়ে সেই যাচ্ছেতাই দিন, ব্যাটিংয়েও পুরোনো ভঙ্গুর দশা। বড় লক্ষ্যে বাবর আজম-সালমান আগাদের লড়াইয়ের পরেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডুবিয়েছে মিডল ও লোয়ার অর্ডার। তাতে হারের বৃত্তও কাটেনি সফরকারীদের।
শনিবার (২৯ মার্চ) নেপিয়ারে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিং নেওয়াই যেন ভুল ছিল পাকিস্তানের। ওভারপ্রতি প্রায় ৭ এর মতো করে রান নিয়েছে কিউইরা। ৯ উইকেট হারানোর দিনে জমা করেছে ৩৪৪ রান। জবাবে পাকিস্তান পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারেনি। সব উইকেট হারিয়ে থেমেছে ২৭১ রানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে ১-০ তে।
এদিন নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্বপ্নের এক অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত অলরাউন্ডার মোহাম্মদ আব্বাসের।মুহাম্মদ আব্বাসের জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে। ক্রিকেটার বাবা আজহার আব্বাস দেশে থাকলে এখন পাকিস্তানের হয়েই খেলতে পারতেন তিনি। আজহার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে স্থায়ী হবেন। যেই কথা, সেই কাজ। ফলস্বরূপ শৈশবের দিনগুলোতেই পরিবারের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড পাড়ি দেন তিনি। আজ সেই দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ২১ বছর বয়সি আব্বাসের।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের শেষ দুটো ইনিংসে ১০৪ ও ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আব্বাস গ্যারি স্টিডের দলে ডাক পান। নেপিয়ারে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ তার অভিষেক হয়েছে, কাকতালীয়ভাবে প্রতিপক্ষও তার জন্মস্থান পাকিস্তান। জন্মস্থানের বিপক্ষে অভিষেকেই বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি এখন তার নামে।
২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ২৬ বলে ফিফটি করেছিলেন ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়া, দুবছর পর ২৬ বলে ফিফটি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলিক আথানাজও। আব্বাস ওই যৌথ রেকর্ড ভেঙেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ বলে ফিফটি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে আউট হন ৫২ রান করে।
আব্বাসের ঝড় তোলার দিনে মার্ক চাপম্যানও বিধ্বংসী ছিলেন। ১১১ বলে ১৩২ রান করেন তিনি। তাতে নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে ওঠে ৩৪৪ রানের পাহাড়ে। জবাবে পাকিস্তান ২৭১ রান করে অলআউট হওয়ায় নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি ৭৩ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তান সঠিক পথেই ছিল, উসমান খান ৩৯, আবদুল্লাহ শফিক ৩৬ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩০ রানে আউট হওয়ার পর ৩ উইকেটে তারা বোর্ডে ২৪৯ রান জমা করেছিল। পরের ২২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় তারা।
বাবর আজম ব্যক্তিগত ৭৮ রানে আব্বাসকে উইকেট দেওয়ার পরই পতন শুরু হয়। নাথান স্মিথের তোপে সালমান আগা আলীর পরে নামা কেউই ১ রানের বেশি করতে পারেননি। সালমান ৪৮ বলে করেন ৫৮ রান। স্মিথ নেন ৪ উইকেট।
Leave a Reply