শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সারাফতের পরিবারসহ ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৩ সময় দেখুন

ঢাকা, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি নাফিজ সারাফত ও আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি, প্লটও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

 

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে নাফিজ সারাফাতের নামে গুলশানের ২০তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি, গুলশানের একটি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজারের চারটি, নিকুঞ্জ উত্তর আবাসিক এলাকায় একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জের দুটি প্লট, বাড্ডার কাঁঠালদিয়ার আড়াই কাঠা, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের দুটি ১০ কাঠা করে ২০ কাঠা, গাজীপুর সদরে ৮.২৫ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জের জোয়ার সাহারায় ৪.৯৫ শতাংশ জমি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রাজউক পূর্বাচল প্লটে সাড়ে ৭ কাঠা জমি রয়েছে।

 

এ ছাড়া আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়িসহ জমি, পান্থপথে একটি, গুলশান লিংক রোডে একটি, মিরপুর ডিওএইচএসে একটি, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, বাড্ডার কাঁঠালদিয়ায় আড়াই কাঠা নাল জমি ও গাজীপুর সদরে ৮.২৫ শতাংশ চালা জমি রয়েছে।

 

রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে বনানীতে থাকা তিনটি ও বারিধারায় থাকা চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান কমিশনের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন। দুদেকর পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। পরে আদালত তাদের এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।

 

আবেদনে বলা হয়, নাফিজ সারাফাত ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে এবং তারা পলাতক রয়েছেন।

 

প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তিগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত/বৈধ আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সঙ্গে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও (৩) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা স্থাবর সম্পত্তিগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্তে সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব স্থাবর সম্পত্তি অবিলম্বে ক্রোককরণ আবশ্যক।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর