রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরন করে হত্যা চেষ্টার মূল হোতাকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ সময় দেখুন

মোঃ জিয়াউর রহমান জুয়েল মৃধা-জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী),০৯ জানুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ১৪ নং মৌকরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে অপহরন করে মুক্তিপন এবং তাকে হত্যার চেষ্টায় বর্বরোচিত নির্যাতন ঘটনার মূল হোতাকেসহ জড়িতদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকার শত শত নারী- পুরুষের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

বৃহষ্পতিবার ( ৯ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সড়কে মৌকরন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ( হক সিকদার) এর সভাপতিত্বে ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সুলতান মাস্টারের সঞ্চালনায় দুইঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধবন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভিকটিম মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের স্বজন কলেজ শিক্ষক কাজী ইসরাত হোসেন বাদল ও কাজী দেলোয়ার হোসেন দিলিপ। আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, সাবেক সেনা সদস্য মো. খবির উদ্দিন জোমাদ্দার, ইউপি সদস্য ইসমত আারা বেগম, সহকারী অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য কাজী ইমরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য সোহাগ হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন মোল্লা, ব্যবসায়ী শাহীন মুন্সি, আবুল হোসেন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ আবির আকন, কামরুল ইসলাম মাসুদ, মাওলানা মামুন আকন, বিএনপি নেতা মো. ফারুক প্রমুখ।

বক্তারা পুলিশ প্রশাসনসহ অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে, মৌকরন ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে অপহরন করে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীকে সহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে একই দাবীতে শুক্রবার শ্রীরামপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করার কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।

প্রকাশ, উক্ত ইউপ চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১ টায় গ্রীন লাইন পরিবহনে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে কেরানীগঞ্জ এলাকায় ১৫/২০ জন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে জোরপূর্বক টানা হেচরা করে তুলে নিয়ে বাবুবাজার এলাকায় নির্মানাধীন একটি ভবনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে হাত- পা বেঁধে রেখে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এঘটনার এক পর্যায় চেয়ারম্যানের ছোট ভাইসহ স্বজনরা পুলিশ কর্মাকর্তাদেরকে অবহিত করে। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ২ জানুয়ারী দুপুর ১২ টায় উল্লেখিত বাবুবাজার নির্মানাধীন ভবন থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে বলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান হাওলাদার জানান। চেয়ারম্যানের সহধর্মীনি ফারহানা খানম রিতা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন বলে ইউপি সদস্য ইসমত আরা বেগম নিশ্চিত করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর