আমাদের ঢাকা টিভির ষ্টাফ রিপোর্টার সাইয়্যেদ শান্ত জানান, পঞ্চগড়ের চিকিৎসার তাগিদে সাধারণ মানুষ পঞ্চগড়ের আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ছুটে আসে, কিন্তু হাসপাতালের কিছু কিছু বিষয় সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের তেমন কোনো প্রশ্ন নেই, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খাবার পানির টিউবওয়েল, নিরাপত্তা কর্মী/দারোয়ান এসব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের কিছু মন্তব্য রয়েছে, পঞ্চগড়ের মানুষের স্বার্থে এসকল বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পঞ্চগড় জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলুর রহমান এর সাধারণ মানুষের অনুরোধ আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার।
হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকে ময়লা আবর্জনা, পঁচা খাবার। যেগুলো থেকে ছড়ায় প্রচন্ড দুর্গন্ধ। সময়মত পরিষ্কার করা হয় না। যার কারণে রোগী এবং রোগীর সাথে আসা মানুষদের থাকা/চলাফেরা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দ্বাড়িয়েছে। মানুষকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতন করা প্রয়োজন, নিয়ম না মানলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। হাসপাতালের বারান্দা বর্তমানে কুকুরের বাসস্থানে পরিণত হচ্ছে, ছড়াতে পারে রোগজীবানু, আক্রমণ করতে পারে মানুষের উপর, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।
হাসপাতালের ভেতরে টিউবওয়েল রয়েছে, কিন্তু এর পানি আদৌ পান যোগ্য কি না আমরা তা জানি না, তাছাড়া টিউবওয়েলের ফ্লোরে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই মানুষজন এটি ব্যবহার করে না, মানুষকে ঝুকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে হোটেল থেকে খাবার পানি নিয়ে আসতে হয়, পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি, হাসপাতালের ভেতর জরুরি ভিত্তিতে খাবার পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করে সাধারণ মানুষ ও রোগীগন।
হাসপাতালের মূল ফটক সবসময় খোলা, নিরাপত্তা কর্মী/দারোয়ান চোখে পড়ে না, যেটি এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কাম্য নয়, যেকোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে চুরি/ ছিনতাইয়ের মত ঘটনা, এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এছাড়াও হাসপাতাল সীমানার ভেতরে যে দোকান রয়েছে, অভিযোগ রয়েছে সেখানে কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম MRP মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়া হয়, এ ব্যপারে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন মনে করে সাধারণ মানুষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাছে।
Leave a Reply