চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হবার পর হতাশ পিএসজির কোচ থমাস টাচেল তার ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর দুই স্ট্রাইকার নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের পক্ষেই কথা বলেছেন।
এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের লক্ষে ২০১৭ সালে পিএসজি’র কাতারী মালিক নেইমার ও এমবাপ্পের জন্য ৪০২ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছিলেন। কিন্তু জার্মান জায়ান্টদের ষষ্ঠ ইউরোপীয়ান শিরোপা জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি বিশ্বের এই ব্যয়বহুল ফরোয়ার্ড।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার নেইমার হলুদ কার্ড পেয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন। শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে টাচেল বলেছেন, ‘আমরা নেইমার ও এমবাপ্পের কাছ থেকে গোল চাই। কিন্তু সব সময়ই সেটা সম্ভব হবে এমন আশা করাও ঠিক না। আমি সত্যিই গর্বিত। কারন নেইমার তার মানসিকতার প্রমান দিয়েছে। পুরো ম্যাচেই সে সমান তালে খেলেছে। কিলিয়ানের জন্য ম্যাচটা কিছুটা হলেও কঠিন ছিল। কারন সবাই জানে সে ইনজুরিতে ভুগছে। বেশ কয়েকটি অনুশীলনে সে অনুপস্থিত ছিল। পুরো ম্যাচে যে সে আমাদের সাথে ছিল এটাই আশ্চর্য্যরে বিষয়।’
বিরতির ঠিক আগে এমবাপ্পে গোলের দারুন সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শটটি সরাসরি গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের হাতে জমা পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেছেন কিংসলে কোম্যান। এই পিএসজি থেকেই যার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। টাচেল বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম গোলটি যদি আমরা করতে পারতাম তবে আমরাই ১-০ গোলে ম্যাচটি জিতে নিতাম। আমি সবসময়ই মনে করি প্রথম গোলই এই ধরনের ফাইনালে ভাগ্য গড়ে দেয়। আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
তবে নতুন মৌসুমে পিএসজির বস হিসেবে তিনি থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে টাচেল বলেছেন, ‘এখনো ক্লাবের সাথে আমার চুক্তি রয়েছে। তবে এখনো জানি না কি হতে যাচ্ছে।’
পিএসজির কাতারী সভাপতি নাসির আল-খেলাইফি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি দারুন গর্বিত। পুরো মৌসুম দারুন কেটেছে, এই টুর্নামেন্টেও আমরা অসাধারণ খেলেছি। কেউই চিন্তা করেনি আমরা ফাইনালে খেলবো। জয়ের খুব কাছাকাছি আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম। জয়ের জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করেছি। কিন্তু এটাই ফুটবল। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য আমরা কাজ করে যাব। কারন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
পিএসজির মিডফিল্ডার এ্যান্ডার হেরেরা স্বীকার করেছেন ফাইনালে পরাজিত হবার বিষয়টা মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু একইসাথে বলেছেন পিএসজি এমন একটি ক্লাব যা তার লক্ষ্য কখনই ছুঁড়ে ফেলে দেয়না। ৩১ বছর বয়সী হেরেরা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় অর্জন করেছি। আমাদের একসাথে থেকে পরবর্তী মৌসুম নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এই মুহূর্তে সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে এমন মনে হতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদেরর নিজেদের প্রমানের চেস্টা করে যেতে হবে। কাল আমরা চিন্তা করবো কি করেছি, কি করতে পারিনি।’
Leave a Reply