শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার মামলায় দুলাভাই সোহাগ হোসেন (২৬) নামে এক তরুণকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাইনুল হক এই দন্ডাদেশ দেন। দ-িত সোহাগ হোসেন নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা জোলার পাড় এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ই জুলাই বিকালে নাটোরের বনবেলঘরিয়া এলাকার মমিন হোসেনের মেয়ে মৌমিতা আক্তার (১০) তার বোন মৌসুমির বাড়িতে যায়। কিন্তু বিকাল পর্যন্ত মৌমিতা তার বড় বোনের বাড়ি না পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন কৃষক কলাবাগানে কাজ শেষে ফেরার পথে পাটক্ষেতে কলার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা একজন মানুষের পা দেখতে পান। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত মৌমিতার বাবা মমিন হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মৌমিতার দুলাভাই সোহাগ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
একপর্যায়ে সোহাগ তার শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করে।
মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে এলে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মাইনুল হক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শাহজাহান কবীর দ-াদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ কারাগারে আটক ছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজার পরোয়ানা বলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, তারা দ-াদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
Leave a Reply