রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকায় সিন করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিন করপোরশেন নামের ওই প্রতিষ্ঠানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামনের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
করোনা মাহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। যার বাজেট ছিল ১১০০ কোটি টাকা। এই টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকার কেনাকাটা করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল করোনা সংক্রমণ চিকিৎসকসহ সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের বাঁচাতে বিশেষ (এন৯৫) মাস্ক কেনা। এছাড়া চিকিৎসকদের সুরক্ষাসামগ্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেডিকেল আইটেম কেনা হয় এই প্রকল্পের আওতায়। কিন্তু সেই কেনাকাটায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের অভিযানে দেখা যায়, দুই লাখ ১০ হাজার পিস মাস্ক চার টাকা দরে কেনার অনুমোদ দেয়া হয় সিন করপোরেশনকে। কিন্তু তাদের কেনা মাস্ক অত্যন্ত নিম্নমানের। মাস্কে ব্যবহৃত ফিল্টার থেকে শুরু করে সবকিছুই নিম্নমানের।
এমনকি এই প্রকল্পের আওতায় কেনাকাটার জন্য মানা হয়নি কোনো ধরনের বিধিনিষেধ। নেয়া হয়নি ঔষধ প্রশাসনের ছাড়পত্র বা অনাপত্তিপত্র। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য কেনার আগে মান নিয়ন্ত্রণ কমিটির থেকেও কোনো ধরনের অনুমোদন নেয়া হয়নি।
সিন করপোরেশনের সঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় মাস্ক সরবরাহের জন্য গত এপ্রিল মাসে চুক্তি করা হয় এবং তারা মে মাসে এই মাস্ক সরবরাহ করে। সরবরাহ করা মাস্কের প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল এটি নন মেডিকেল পণ্য। কিন্তু সেই একই পণ্য বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। যার ফলে শত শত ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকে প্রাণ হারিয়েছেনে।
এছাড়া একই প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০০ থার্মোমিটার কেনার অনুমোদ পেয়েছিল কিন্তু সেগুলো এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা জরিমানার খবর পাওয়া যায়নি। শেষ খবর অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানে র্যাবের অভিযান চলছে।
Leave a Reply