আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর আদালতের দায়রা জজ আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে মিজানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবীরা।
সাড়ে ১১টার দিকে জামিনের পক্ষে-বিপক্ষে শুনানি হয়। প্রায় এক ঘণ্টার মতো শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে মিজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এর আগে গতকাল সোমবার দুর্নীতির মামলাটিতে আগাম জামিন নিতে গেলে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আবেদন নামঞ্জুর করে মিজানের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়।
২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
দুর্নীতি ছাড়াও জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি অস্ত্রের মুখে নারীকে বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগের পর এক সাংবাদিক, টেলিভিশনের উপস্থাপিকা ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়া, দুর্নীতি, দুদকের তদন্ত নিজের পক্ষে নিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল না। তবে জুন মাসে দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার কথা প্রকাশ করে ফেঁসে যান তিনি। রাষ্ট্রপতির আদেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। বিচার হবে, ঘোষণা আসে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও। খান দুর্নীতির মামলা। গতকাল জলাই মাসের প্রথম দিন আগাম জামিন নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে হন বন্দি। মঙ্গলবার জামিন শুনানির পর বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Leave a Reply