বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় ফিরে আসলো ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিল

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫
  • ১১ সময় দেখুন

ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ঈদকে আনন্দমুখর করতে রাজধানীতে বিশাল ঈদ আনন্দমিছিল করা হয়েছে। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এ আয়োজনে খাওয়ানো হয় মিষ্টি ও সেমাই।

 

সোমবার সকালে শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে মাঠ থেকে বের করা হয় ঈদ আনন্দমিছিল। ব্যান্ডদলের বাদ্যবাজনার তালেতালে নেচে গেয়ে হইহুল্লোড় করে আনন্দমুখর পরিবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই মিছিলে। ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তা–সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক’ বলে আনন্দধ্বনি তোলেন। মিছিলের অগ্রভাগে দুই সারিতে ছিল আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া। আরও ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস–সংবলিত ১০টি পাপেট শো। আনন্দমিছিল থেকে ন্যায্য ঢাকা শহর গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। মিছিলটি খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়।

 

ঈদ আনন্দমিছিল শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উন্মুক্ত মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা ঈদের দর্শকপ্রিয় গান ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পর ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো শিল্পীরা পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সময় সাধারণ মানুষকে সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তৃতার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন।

 

তিনি বলেন, “এবারের ঈদটাকে সত্যিকার অর্থেই ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। ঢাকার যে ঐতিহ্যবাহী ঈদমিছিল, সেটা হয়তো কয়েকশ বছর পর আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে প্রতিবছর এভাবেই নগরবাসী এক হয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করবে। এখন থেকে ঈদ উৎসব হবে আনন্দময়। ঘরে বসে টিভি দেখে সময় কাটাতে হবে না। সবাই একসঙ্গে ঈদমিছিল করবে, মেলা উপভোগ করবে, সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ-বাটোয়ারা করে নেবে।”

 

ঈদ আনন্দমিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা অংশগ্রহণ করেছেন জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঈদের আনন্দ সকলের। ঈদের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, ঈদের নামাজের পর ঘরে ঢুকে যাওয়া এবং শুধু নিজেদের পরিবারকে সময় দেওয়া, সেটার পরিবর্তন দরকার। কারণ, ঈদ মানেই জমায়েত, সমাজের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।”

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর