রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

ট্রাফিক ও চাঁদাবাজি সমস্যা সমাধানে ডিএমপিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫১ সময় দেখুন

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট):  আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি সদরদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঢাকা মহানগরীর পুলিশকে উজ্জীবিত এবং রাজধানীর ট্রাফিক ও চাঁদাবাজি সমস্যা সমাধানে ডিএমপিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশকে পুরনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরনো গৌরবটা ফিরে পাওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয়, এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও তাদের যেন একটা পেসেন্ট হিয়ারিং দেওয়া হয়। কাজগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে।”

 

তিনি বলেন, “মেইনলি আলোচনা হয়েছে পুরনো ফর্মে যেন পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। সবার একটা আশা জনবান্ধব পুলিশ।”

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, সেটা বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এই সম্বন্ধে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়। প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলো সম্বন্ধে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”

 

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে। বাদী আসামিদের চেনে না। পুরাতন ফরম্যাটে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিতো। এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিতো। এখন পুলিশ কিন্তু মামলা দিচ্ছে না। এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিক দিচ্ছে। যদি পুলিশ একটা এমন মামলা দেয় যে ১০ জনের নাম দিয়ে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে দেওয়া– আমার কাছে আনবেন।”

 

তিনি বলেন, “এখন যারা মামলা দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। তাদের বলতে হবে, ভাই যারা অ্যাকচ্যুয়াল ক্রিমিনাল তারে দেও। কালকে আমার কাছে একজন আসছিল। বলে স্যার আমাদের যে অরিজিনিয়াল আসামি তাকে ১১ নম্বরে রাখা হয়েছে। আমি বলি কেন? তারে তো এক নম্বরে দিবেন। বলে যে, যারা এইটা ড্রাফট করছে তারা দিয়েছে। অন্যরা এইভাবে সাজিয়ে দিয়েছে।”

 

এ সময় তিনি বলেন, “আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কারো নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে। নিরীহ লোক যেন হেনস্তা না হয় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আমরা কিন্তু বলে দিয়েছি যে, সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই এরেস্ট করা হবে না এবং আমি ডিবিকে আজকে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, তাদের পরিচয় আগে দিতে হবে। এরপর গ্রেপ্তার করতে হবে। এখানে আমার ধরার কথা শুধু ক্রিমিনালদের। আমি সাধারণ মানুষকে তো ধরার জন্য বলব না, ক্রিমিনালদের ধরার জন্য। সাধারণ পাবলিকের যেটা কমফোর্ট হয়, এটার দিকে পুলিশ চেষ্টা করবে।”

 

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। এটা বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কালকে দেখলাম জাহাঙ্গীরনগরে, তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতাটা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্তু আইন তো ‍নিজ হাতে তুলে নেওয়ার কারও অধিকার নাই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে। এটার ক্ষেত্রে আপনারাও (সাংবাদিকরা) একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর