জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর নৈশপ্রহরীসহ একদিনে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নৈশপ্রহরীসহ ৯ জন এবং ক্ষেতলাল উপজেলায় ২জন রয়েছেন। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার দিবাগত রাত থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক। এই নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট ১৯জনের।
এই তথ্যটি নিশ্চিত করে গতকাল সোমবার রাত প্রায় ১১টায় জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা জানান, গতকয়েকদিন আগে ঢাকায় আইইডিসিআর পরীক্ষার জন্য পাঠানো নমুনা থেকে ১৮৫ টি নমুনার ফলাফল এসেছে। সেখানে থেকে ১৭৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এবং ১১ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ১১জনের মধ্যে কালাই উপজেলার ৯জন এবং ক্ষেতলাল উপজেলার ২জন। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার করোনা সনাক্তরা হলো-কালাই পৌর সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নৈশপ্রহরীসহ আকন্দপাড়া গ্রামের দুইজন, দোকানদার পাড়া গ্রামের একজন, উপজেলা জিন্দারপুর ইউনিয়নের ঘাটুরিয়া গ্রামের একজন, ইটাইল গ্রামের একজর, বাখরা গ্রামের একজন, মহেশপুর গ্রামের একজন, নাশপুর গ্রামের একজন ও করিমপুর গ্রামের একজন।
আর ক্ষেতলাল উপজেলার করোনা সনাক্তরা হলো-উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া এক জন এবং তালুকদারপাড়ার বাসিন্দা এক জন। গতকাল সোমবার রাতেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার রাতে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে এর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে কালাই উপজেলার ৯ জন ও ক্ষেতলাল উপজেলা ২ জন। এই নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট ১৯জনের। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরির করোনা শনাক্ত হয়েছে। একারণে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অনিদিষ্টকালের জন্য লকডাউন করা হয়েছে।
Leave a Reply