আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ নাগরিক শোকসভায় যোগ দিয়ে সদ্য প্রয়াত প্রথিতযশা সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি তার কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে আমার এতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল যে, তিনি আমার পাশে থাকবেন না তা কখনো ভাবিনি। এক সময় তিনি বিএনপির সমালোচনা করেছিলেন। তিনি সত্যকে সত্য বলতেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি রাজনীতি সচেতন ছিলেন। পরবর্তী জীবনে সাংবাদিক হিসেবে অবদান রেখেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্র নেই সে দেশে মুক্তিবুদ্ধি চর্চা ও লেখা কঠিন। কিন্তু মাহফুজ উল্লাহ তা পেরেছেন। যে সমাজে কথা বলা দুঃসহ। সেখানে তিনি কথা বলেছেন, লিখে গেছেন। হুমকি-ধমকির মুখেও তিনি লিখে গেছেন। আমৃত্যু্ তিনি সংগ্রাম করে গেছেন। তার লিখিত বই ৫০ এর ঊর্ধ্বে।’‘জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে বই লিখেছেন মাহফুজ উল্লাহ। এমন সময় লিখেছেন যে সময় বুদ্ধিজীবীরা এই দুই নেতার ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না। তিনি চাইলে বড় একজন রাজনীতিক হতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সাংবাদিক হিসেবে রাজনীতিকে তিনি দেখেছেন।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খানের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সাদাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, সাবেক কূটনীতিক শমসের মুবিন চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির প্রমুখ।
Leave a Reply