আজ শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাবনা, সুনামগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও নেত্রকোণা জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাবনায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা-ছেলেসহ চারজন। সুনামগঞ্জেও বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
পাবনার বেড়া উপজেলায় পাট ধোয়ার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা-ছেলেসহ চারজন। এরা হলেন, বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), মোতালেবের দুই ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২২) ও শরিফ উদ্দিন এবং একই গ্রামের রহম প্রামাণিক (৫৫)।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, হারিদুল মিয়া (৪৭) ও তার ছেলে মো. তারা মিয়া (১২)। তাদের বাড়ি উপজেলার ২ নম্বর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিক কিলা গ্রামে।
চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনড়- মকবুলের ছেলে আল আমিন (৩০), গোলাম রসুলের ছেলে হুদা (৩২) ও মো. বরকতের ছেলে হামিদুল (৩৫)। তাদের বাড়ি মেহেরপুরের বারাদি ইউনিয়নে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও ফুলপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফুলবাড়িয়ায় বজ্রপাতে চৈইত কোচ (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। দুপুরে উপজেলার বড়বিলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে ফুলপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় কৃষকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- কৃষক জামাল উদ্দিন (৪০) ও সোহাগ মিয়া (২৪)।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুরুল হুদা (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর তিনটার দিকে মাছমারা বেনীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুরুল হুদা মাছমারা গ্রামেরই বাসিন্দা।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় গরু চরাতে মাঠে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এনামুলের বাড়ি সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।
Leave a Reply